শাওমি মোবাইল দাম ২০২৪ - রেডমি & এমআই

শাওমি মোবাইলের ইতিহাস

শাওমি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ৬ই এপ্রিল, ২০১০ তারিখে, আট জন সহকারী দ্বারা। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন লেই জুন এবং এটি বেইজিং, চীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। শাওমির প্রথম স্মার্টফোন বাজারে আসে ২০১১ সালে, এবং ২০১৪ সালের মধ্যে শাওমি বিশ্ব বাজারে বড় আকারে প্রবেশ করে এবং চীনের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন কোম্পানিতে পরিণত হয়।

২০১০ সালের ১৬ই আগস্ট, শাওমি তাদের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ফার্মওয়্যার, MIUI, আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করে। MIUI ছিল একটি কাস্টম রম যা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপরে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বিশেষ এবং ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা প্রদান করেছিল। শাওমির এই নতুন উদ্ভাবন দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এটি শাওমির ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করে।

২০১৬ সালের আগস্ট মাসে, শাওমি বাংলাদেশে তাদের যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের পর থেকে, শাওমি দ্রুত স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং তাদের প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য সুপরিচিত হয়ে ওঠে। বর্তমানে, শাওমি বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে। 

শাওমির সাফল্যের পেছনে তাদের উচ্চমানের পণ্য, ব্যবহারকারীবান্ধব সফটওয়্যার, এবং ক্রমাগত উদ্ভাবনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। শাওমি শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন কোম্পানি নয়, বরং তারা স্মার্ট হোম ডিভাইস, পরিধেয় প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্ষেত্রেও কাজ করছে, যা তাদেরকে একটি বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে পরিচিত করেছে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্যবহৃত মোবাইল এর দাম জানতে ক্লিক করুন।

বাংলাদেশে শাওমি মোবাইলের দাম ২০২৪

বাংলাদেশে শাওমি মোবাইলের দাম শুরু হয় মাত্র ৩,০০০ টাকা থেকে। এই সাশ্রয়ী মূল্যের ফোনগুলি ব্যবহারকারীদের স্পষ্টভাবে কথা বলার সুযোগ দেয় এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে সহজতা প্রদান করে। এই কারণে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ শহরাঞ্চলেও শাওমি মোবাইলের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

কম দামের জন্য শাওমি মোবাইলগুলি সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। শিক্ষার্থী, নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে শাওমি মোবাইল একটি আদর্শ পছন্দ। এর ব্যাটারি ব্যাকআপ, ক্যামেরার গুণমান এবং ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারফেস অনেকের কাছেই প্রশংসিত হয়েছে। 

নতুন মডেলের কথা বললে, শাওমির রেডমি এবং মি সিরিজের মোবাইলের দাম বাংলাদেশে শুরু হয় ১৫,০০০ টাকা থেকে। এই ফোনগুলোতে উচ্চ মানের ডিসপ্লে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফের সুবিধা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এর সাথে রয়েছে উন্নত ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসর, এবং স্লিক ডিজাইন, যা প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। 

শাওমির বৈচিত্র্যময় দাম এবং উচ্চমানের পণ্যগুলি সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। প্রতিযোগিতামূলক মূল্য এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য শাওমি বাংলাদেশের গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। 

শাওমির সাফল্যের মূল রহস্য হল তাদের গ্রাহকদের প্রয়োজন ও ইচ্ছার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধতা। তারা কেবলমাত্র একটি স্মার্টফোন কোম্পানি নয়, বরং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য ও গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি তৈরিতেও নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশি গ্রাহকদের কাছে শাওমি শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ড নয়, বরং একটি বিশ্বাসের নাম হয়ে উঠেছে। 

বাংলাদেশে শাওমির যাত্রা শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত, তারা গ্রাহকদের সন্তুষ্টি এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ক্রমাগত উন্নত করেছে। ফলে, শাওমি বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে একটি প্রধান স্থান দখল করতে পেরেছে এবং ভবিষ্যতে তাদের অবস্থান আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা যায়।

MI এবং Redmi-এর মধ্যে পার্থক্য কি? 

MI: শাওমির প্রধান স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হল MI। এই সিরিজটি উন্নত নির্মাণ গুণমান, উৎকৃষ্ট ক্যামেরা, দ্রুত সফটওয়্যার আপডেট এবং উন্নত গেমিং হার্ডওয়্যার নিয়ে আসে। MI স্মার্টফোনগুলো তাদের প্রিমিয়াম ডিজাইন ও পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই ফোনগুলির প্রত্যেকটি দিকেই থাকে একটি উচ্চমানের স্পর্শ, যা ব্যবহারকারীদের একটি প্রিমিয়াম অনুভূতি দেয়। MI সিরিজের ফোনগুলিতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, দুর্দান্ত ডিসপ্লে, এবং দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি থাকে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়াও, MI স্মার্টফোনগুলোতে উন্নত মানের ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যা ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য একটি বাড়তি সুবিধা প্রদান করে।

Redmi: শাওমির একটি পৃথক সাব-ব্র্যান্ড হল Redmi। Redmi মোবাইলগুলো শাওমির চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম দামে বাজারজাত করা হয়, যা সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সহজলভ্য করে তোলে। Redmi স্মার্টফোনগুলোতেও শাওমির MIUI অ্যান্ড্রয়েড ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি পরিচিত এবং সহজ ব্যবহারযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে, এই ফোনগুলিতে MI-এর চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচের হার্ডওয়্যার ব্যবহৃত হয়, যা এর দাম কম রাখার প্রধান কারণ। Redmi সিরিজের ফোনগুলোতে সাধারণত ভালো মানের ব্যাটারি লাইফ, সন্তোষজনক ক্যামেরা পারফরম্যান্স এবং পর্যাপ্ত প্রসেসিং ক্ষমতা থাকে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট।

শাওমি ও Redmi-এর এই বৈচিত্র্যময় পণ্যসম্ভার তাদেরকে মোবাইল বাজারের সমস্ত স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। MI সিরিজটি প্রিমিয়াম গ্রাহকদের লক্ষ্য করে উন্নত প্রযুক্তি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যেখানে Redmi সিরিজটি সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে চমৎকার স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এই পার্থক্যের মাধ্যমে শাওমি তাদের বাজার কৌশলকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করেছে, যা তাদেরকে একটি বিশ্বমানের প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

শাওমির এই কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি তাদেরকে বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সাহায্য করেছে। তারা প্রিমিয়াম ও সাধারণ উভয় ধরনের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। MI এবং Redmi-এর মধ্যে এই পার্থক্যগুলি শুধু পণ্যের গুণমান এবং দামে নয়, বরং গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও প্রভাব ফেলে। এই দুটি ব্র্যান্ডের সফলতা শাওমিকে একটি নির্ভরযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বাংলাদেশে কত ধরনের Redmi ফোন সিরিজ রয়েছে?

এশিয়া মহাদেশে মোট ৪টি ধরনের Redmi ফোন সিরিজ বাজারজাত করা হয়েছে। নিচে Redmi ফোন সিরিজের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:

Redmi সিরিজ: Redmi সিরিজের ফোনগুলি এশিয়া মহাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যের ফোন হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অঞ্চলভেদে, ভারত, চীন, জাপান এবং গ্লোবাল বাজারে একই মডেলের কিছু ভিন্নতা দেখা যায়। কখনও কখনও একই মডেলের ফোনের নামকরণেও পার্থক্য থাকে। বাংলাদেশে কম খরচে উচ্চ কনফিগারেশনের জন্য Redmi সিরিজের ফোনগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

Redmi Note সিরিজ: Redmi ফোনগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে Redmi Note সিরিজ। এই সিরিজের ফোনগুলি নিম্ন বাজেট থেকে মধ্যম বাজেট পর্যন্ত উপলব্ধ। ক্যামেরার গুণমান, ডিসপ্লের মান, চার্জিং ব্যাকআপ এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলি উচ্চ বাজেটের ফোনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। বাংলাদেশে Xiaomi Note সিরিজের মোবাইলের অনেক সুবিধা থাকলেও দাম খুব বেশি নয়। উন্নত ফিচার সহ কেউ চাইলে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে Xiaomi Note সিরিজের মোবাইল পেতে পারেন। Xiaomi Note সিরিজের মোবাইলের সুবিধাগুলি হলো:

১. ডিজাইন ও ডিসপ্লে: উচ্চ রেজোলিউশনের বড় আকারের ডিসপ্লে সহ ডিজাইনে উপলব্ধ, যা গেমিং, ভিডিও দেখা এবং অন্যান্য কাজে আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

২. প্রসেসর ও RAM: শক্তিশালী প্রসেসর এবং পর্যাপ্ত RAM সহ উপলব্ধ, যার ফলে মাল্টিটাস্কিং, দ্রুত অ্যাপ লঞ্চ, গেমিং এবং ভিডিও এডিটিং সহ বিভিন্ন কাজের জন্য যথেষ্ট পারফরম্যান্স প্রদান করে।

৩. ফটোগ্রাফি: ফটোগ্রাফির জন্য, Note সিরিজের মোবাইলে রয়েছে একাধিক ক্যামেরা লেন্স, AI ডিটেকশন, ন্যাচারাল এবং নাইট মোড, যা উচ্চমানের ছবি এবং ভিডিও ধারণের সুযোগ দেয়।

৪. ব্যাটারি: উচ্চ ব্যাটারি ক্ষমতা সহ Xiaomi Note সিরিজের মোবাইল, ফলে ঘন ঘন চার্জিংয়ের প্রয়োজন হয় না।

৫. MIUI অপারেটিং সিস্টেম: Xiaomi-এর MIUI কাস্টমাইজড অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সহ উপলব্ধ, যা নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের উন্নত নিরাপত্তা এবং নতুন ফিচার প্রদান করে।

৬. কানেক্টিভিটি সুবিধা: 4G/5G নেটওয়ার্ক, Wi-Fi, Bluetooth, এবং GPS সহ বিভিন্ন কানেক্টিভিটি সুবিধা সহ সজ্জিত।

Redmi A সিরিজ: Redmi A সিরিজের ফোনগুলি Redmi ফোনগুলির মধ্যে সবচেয়ে সস্তা এবং নিম্ন কনফিগারেশনের। এখন পর্যন্ত Redmi A সিরিজের মোট ৪টি মডেল বাজারজাত করা হয়েছে।

Redmi K সিরিজ: Redmi ফোনগুলির মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ কনফিগারেশনের ফোন হল Redmi K সিরিজ। Redmi K সিরিজের ফোনগুলির দামও তুলনামূলকভাবে বেশি। Redmi K সিরিজের ফোনগুলির ডিজাইন তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয়।

এশিয়া মহাদেশে এবং বিশেষ করে বাংলাদেশে Redmi ফোন সিরিজগুলি তাদের বৈচিত্র্যময় কনফিগারেশন ও দামের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। MI এবং Redmi-এর এই পণ্য বৈচিত্র্য বাজারের সকল স্তরের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে, যা শাওমিকে একটি নির্ভরযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

Redmi মোবাইলের বিশেষত্ব

Redmi মোবাইলের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

১. ডিজাইন: Redmi মোবাইল ফোনগুলি বাজেটের মধ্যে তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয় ডিজাইন অফার করে। এর ফলে, হাতে নিলে Redmi ফোন প্রিমিয়াম অনুভূতি দেয়। তাই বর্তমান আধুনিক ফ্যাশনেবল প্রজন্মের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে Redmi মোবাইল ফোন। ফোনগুলির স্লিক এবং স্টাইলিশ ডিজাইন তাদেরকে আলাদা করে তোলে এবং ব্যবহারকারীদের কাছে একটি বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

২. অপারেটিং সিস্টেম: Redmi স্মার্ট মোবাইলে MIUI অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। MIUI অপারেটিং সিস্টেমের ফলে, Redmi ফোনগুলিতে আরও বেশি প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য এবং গ্রাফিক্যাল অ্যানিমেশন থাকে। এছাড়া, MIUI অপারেটিং সিস্টেমের সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক বেশি শক্তিশালী, যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখে এবং নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে নিরাপত্তার মান উন্নত করে।

৩.ক্যামেরা: নিম্ন বাজেট থেকে উচ্চ বাজেটের সকল Redmi মোবাইলেই উচ্চ-মেগাপিক্সেল ক্যামেরা অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর ফলে, সহজেই উচ্চমানের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করা যায়। Redmi ফোনগুলির ক্যামেরা প্রযুক্তি অত্যন্ত উন্নত, যা ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। বিশেষ করে, লো-লাইট ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফিতে Redmi ক্যামেরাগুলি চমৎকার পারফরম্যান্স প্রদান করে।

৪. টেকসইত্ব: Redmi মোবাইল ফোনগুলি তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়। দীর্ঘ ব্যবহারের পরেও Redmi মোবাইলের পারফরম্যান্স ড্রপ রেট খুবই কম। এর মানে হল যে, এই ফোনগুলি দীর্ঘ সময় ধরে নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করে এবং তাদের কর্মক্ষমতা ধরে রাখে। শক্তিশালী নির্মাণ গুণমান এবং উন্নত হার্ডওয়্যারের জন্য, Redmi মোবাইলগুলি ব্যবহারকারীদের দীর্ঘমেয়াদী সেবা প্রদান করে।

৫. সাশ্রয়ী মূল্য: কনফিগারেশনের অনুপাতে Redmi স্মার্ট ফোনের দাম তুলনামূলকভাবে কম। তাই, এশিয়া মহাদেশসহ বাংলাদেশে Redmi মোবাইল খুবই জনপ্রিয়। কম দামের মধ্যে উচ্চমানের বৈশিষ্ট্য এবং কনফিগারেশন প্রদান করে Redmi মোবাইলগুলি সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। 

Redmi মোবাইলের এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যই এটি আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা, সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী মোবাইল ফোন হিসেবে পরিচিত। উচ্চমানের ডিজাইন, শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম, উন্নত ক্যামেরা, টেকসইত্ব এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সংমিশ্রণ Redmi মোবাইলকে সাধারণ মানুষের প্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে

Redmi সিরিজের মোবাইলের দাম ২০২৪

বাংলাদেশে Xiaomi Redmi মোবাইলের দাম সাধারণত মডেল, স্পেসিফিকেশন এবং সিরিজের দেশীয় ভেরিয়েন্টের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে, বাংলাদেশি বাজারে Xiaomi Redmi সিরিজের মোবাইলগুলি সাধারণত সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। বর্তমানে, নতুন Redmi মোবাইলের দাম বাংলাদেশে ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। এই মূল্যের মধ্যে ৬.৫২ ইঞ্চি IPS LED ডিসপ্লে, ২/৩২ GB RAM এবং ROM ভেরিয়েন্ট এবং ৫০০০ mAh ব্যাটারির মোবাইল পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে Redmi মোবাইলের দাম সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় উল্লেখযোগ্য। বাজারে আনঅফিশিয়ালভাবে পাওয়া নতুন Redmi মোবাইলের দাম অফিসিয়াল মোবাইলের চেয়ে প্রায় ২০% কম। এই কারণে অনেকেই আনঅফিশিয়াল মোবাইল কেনার দিকে ঝোঁকেন। এছাড়া, বাংলাদেশে পুরাতন অবস্থার জনপ্রিয় মডেলের Redmi মোবাইলও পাওয়া যায়, যার দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

Redmi মোবাইলের এই বৈচিত্র্যময় মূল্যনীতি গ্রাহকদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের কনফিগারেশন, বড় ডিসপ্লে, পর্যাপ্ত স্টোরেজ এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ Redmi মোবাইলগুলি বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে একটি বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। গ্রাহকরা তাদের বাজেট এবং প্রয়োজন অনুসারে সহজেই একটি Redmi মোবাইল নির্বাচন করতে পারেন। 

এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যই Redmi মোবাইলগুলি সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন অফার করে Redmi মোবাইলগুলি বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।

Xiaomi Mi সিরিজের মোবাইলের দাম ২০২৪

বাংলাদেশে Xiaomi Mi সিরিজের মোবাইল সাধারণত নতুন এবং পুরাতন উভয় অবস্থায় পাওয়া যায়। বর্তমানে, পুরাতন অবস্থার Mi সিরিজের মোবাইলের দাম বাংলাদেশে ৩,৪০০ টাকা থেকে শুরু হয়। এই অবস্থার Mi সিরিজের মোবাইল ব্যবহার করে প্রায় সব ধরনের কাজ করা সম্ভব, যার মধ্যে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত।

নতুন Mi মোবাইলের দাম বাংলাদেশে ১৩,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়, যেখানে ২/১৬ GB RAM এবং ROM, Qualcomm MSM8940 Snapdragon 435 প্রসেসর এবং ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত থাকে। আরও উন্নত প্রসেসর, ক্যামেরা এবং বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের RAM এবং ROM সহ নতুন মডেলের Mi মোবাইলগুলি বাংলাদেশে উপলব্ধ রয়েছে। 

নতুন Mi মডেলগুলির উন্নত হার্ডওয়্যার এবং প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জন্য উন্নত পারফরম্যান্স প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি দিয়ে আপনি উচ্চমানের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে পারেন, এবং শক্তিশালী প্রসেসর এবং পর্যাপ্ত RAM দিয়ে সহজেই মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিং উপভোগ করতে পারেন। 

এছাড়া, Mi সিরিজের মোবাইলগুলির ডিজাইনও বেশ আকর্ষণীয়। স্লিম এবং স্টাইলিশ ডিজাইন ব্যবহারকারীদের একটি প্রিমিয়াম অনুভূতি প্রদান করে, যা তাদের আধুনিক প্রজন্মের ফ্যাশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলে। 

বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে Xiaomi Mi সিরিজের মোবাইলগুলি তাদের উন্নত বৈশিষ্ট্য, সাশ্রয়ী মূল্য এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের কারণে বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। এই মোবাইলগুলি বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের জন্য উপযোগী, যা গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। Xiaomi Mi সিরিজের মোবাইলগুলি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ সরবরাহ করে, যা প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

শাওমি মোবাইল কেন ভালো?

শাওমি মোবাইল বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং বিশ্বের অনেক দেশেই শাওমি ব্র্যান্ড তার স্মার্টফোনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং কম দামের জন্য ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নিচে শাওমি স্মার্টফোনের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:

১. দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ: শাওমি মোবাইলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ। একবার চার্জে এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে সক্ষম, যা বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এছাড়া, শাওমি মোবাইলে একটি ব্যাটারি সেভিং অপশন রয়েছে, যা চালু করলে অসাধারণ ব্যাটারি ব্যাকআপ প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শাওমি মোবাইলের ৪০০০ mAh ব্যাটারি থাকলে এটি ২ দিন পর্যন্ত চলতে সক্ষম এবং ব্যাটারি সেভিং মোড চালু থাকলে ব্যবহারকারী আরও ১ দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবে।

২. ক্যামেরার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব: ক্যামেরার ক্ষেত্রে শাওমি ব্র্যান্ডের মোবাইলগুলি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শাওমি ব্র্যান্ড বহু বছর ধরেই তাদের স্মার্টফোনে প্যানোরামা, পোর্ট্রেট, ইফেক্ট, HDR, স্লোমো ভিডিও সহ অনেক নতুন আধুনিক ফিচার যুক্ত করে আসছে। এছাড়া, যে কোনো ছবি বা ভিডিও পেশাদার পর্যায়ে খুব সহজেই এডিট করা যায়। ক্যামেরার ক্ষেত্রে, শাওমি ব্র্যান্ডের মোবাইলগুলি অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।

৩. কাস্টিং টুল: বাংলাদেশে শাওমি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনগুলির মধ্যে কাস্টিং টুলটি বেশ পরিচিত। যেহেতু শাওমি স্মার্টফোনে এই কাস্টিং টুলটি রয়েছে, যে কোনো প্রেজেন্টেশন, ছবি বা ভিডিও অন্য কোনো ডিভাইসে সহজেই দেখা যায়। ফলে, বাংলাদেশের বাজারে শাওমি স্মার্টফোনের চাহিদা শীর্ষে রয়েছে।

৪. স্ক্যানার প্রযুক্তি: শাওমি তাদের মোবাইলে নতুন বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্ক্যানার প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। শুধু বারকোড নয়, শাওমি ব্র্যান্ডের নতুন মোবাইল যে কোনো হস্তলিখিত পাঠ বুঝতে সাহায্য করে। শাওমির নতুন প্রজন্মের মোবাইলটি প্রয়োজনীয় অস্পষ্ট লেখাগুলি সঠিকভাবে পড়ে বলে দিতে সক্ষম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বাংলাদেশে ব্যবহৃত কোনো শাওমি মডেলের জন্য স্ক্যানিংয়ের জন্য তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় না।

৫. নিরাপত্তা: বাংলাদেশের মধ্য বাজেটের ফোনগুলির মধ্যে, নিরাপত্তার দিক থেকে শাওমি ব্র্যান্ডের মোবাইলগুলি সেরা। যদি শাওমি ফোনটি হারিয়ে যায়, এটি দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এবং দূরবর্তী স্থান থেকে লক করা যায়। এছাড়া, নিয়মিত নিরাপত্তা আপডেটও পাওয়া যায়।

৬. সেকেন্ড স্পেস: সব শাওমি মোবাইলেই একটি ফিচার আছে যা Second Space নামে পরিচিত। সেকেন্ড স্পেস মোডটি আরও কার্যকরী যদি একটি মোবাইল একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করেন। সেকেন্ড স্পেসের সাহায্যে পৃথক ব্যবহারকারী তৈরি করা যায় যাতে প্রতিটি ব্যবহারকারীর তথ্য আলাদা থাকে।

৭. ডুয়াল মোড: প্রতিটি শাওমি স্মার্টফোনে ডুয়াল মোড নামের একটি চমৎকার প্রযুক্তি রয়েছে। কখনও কখনও একটি অ্যাপ দিয়ে অনেক কিছু করতে হয়, কিন্তু শাওমির ডুয়াল মোডের সাহায্যে একটি অ্যাপকে দুটি অ্যাপে রূপান্তর করা যায়। এর ফলে, একটি অ্যাপের ২টি কপির সাহায্যে সহজেই একাধিক কাজ করা যায়।

শাওমি মোবাইলের এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যই এটি আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা, সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী মোবাইল ফোন হিসেবে পরিচিত। উচ্চমানের ডিজাইন, শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম, উন্নত ক্যামেরা, টেকসইত্ব এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সংমিশ্রণ শাওমি মোবাইলকে সাধারণ মানুষের প্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে।

বাংলাদেশে জুলাই ২০২৪ সালের সেরা শাওমি মোবাইলের দাম

এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে আপনহাট এর মাধ্যমে শাওমি মোবাইল ক্রেতাদের চাহিদা ও আগ্রহের ভিত্তিতে। এখানে বিভিন্ন মডেলের শাওমি মোবাইলের দাম এবং বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে, যা বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য সহায়ক হতে পারে। শাওমির এসব মডেলগুলি তাদের উন্নত প্রযুক্তি, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য জনপ্রিয়।