দেশে তৈরি যৌথ ব্র্যান্ডের ফোরজি স্মার্টফোন

 প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন   |   টেক নিউজ , নিউজ ও রিভিউ

দেশে তৈরি যৌথ ব্র্যান্ডের ফোরজি স্মার্টফোন

বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন ও সিম্ফনি। সম্প্রতি এই দুই প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে উন্মোচন করেছে সাশ্রয়ী মূল্যের ফোরজি স্মার্টফোন সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ, যা দেশের প্রযুক্তি জগতে একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা করেছে। সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনটি স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ এই ডিভাইসটি ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি বিশ্বে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা দেশের মোবাইল প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

আকর্ষণীয় মূল্য এবং বিশেষ ইন্টারনেট অফার:

বাংলাদেশের বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। এর প্রধান আকর্ষণ এর মূল্য, যা সকল শ্রেণীর গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। গ্রাহকরা তাদের পছন্দের এই স্মার্টফোনটি মাত্র ৮,৪৯৯ টাকায় অনলাইনে ক্রয় করতে পারবেন, যা আধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইসের ক্ষেত্রে বেশ সাশ্রয়ী। এ ধরনের দাম প্রিমিয়াম ফিচারসহ একটি স্মার্টফোনের জন্য সত্যিই উল্লেখযোগ্য। এই দামের কারণে সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।


তবে শুধু কম দামেই সীমাবদ্ধ নয়, স্মার্টফোনটির সাথে গ্রামীণফোনের বিশেষ ইন্টারনেট অফার যুক্ত থাকায় গ্রাহকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হয়েছে। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোনে প্রি-ইনস্টল করা থাকবে গ্রামীণফোনের জনপ্রিয় অ্যাপ মাইজিপি। এই অ্যাপটির মাধ্যমে গ্রাহকরা মাত্র ১৯৯ টাকায় উপভোগ করতে পারবেন ৭ জিবি ইন্টারনেট ডাটা, যা ৩০ দিন মেয়াদে ব্যবহারযোগ্য। এর মধ্যে ৪ জিবি ডেটা সাধারণ ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের জন্য, এবং বাকি ৩ জিবি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ধারিত। যারা সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত যুক্ত থাকেন এবং ছবি, ভিডিও বা মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি একটি বিশাল সুবিধা।


এই বিশেষ ইন্টারনেট অফার শুধুমাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য নয়। গ্রাহকরা অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোনটি সক্রিয় করার পর ছয় মাস পর্যন্ত এই অফারটি একাধিকবার উপভোগ করতে পারবেন। ফলে গ্রাহকরা দীর্ঘ সময় ধরে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এটি এমন এক সুবিধা যা স্মার্টফোনের দামের সাথে আরও একধাপ মূল্যবৃদ্ধি যুক্ত করে। ব্যবহারকারীরা শুধু স্মার্টফোন কিনেই থেমে থাকছেন না, তারা এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগও পাচ্ছেন, তাও অতি স্বল্প মূল্যে।


এই অফারটি বিশেষ করে নতুন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এবং ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করতে ইচ্ছুকদের জন্য আদর্শ। কারণ তারা কম খরচে উচ্চ গতির ইন্টারনেট এবং আধুনিক ফিচারযুক্ত একটি ফোন ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।


সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এর এই অফার ডিজিটাল সংযোগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বিশাল পদক্ষেপ। এতে করে দেশের গ্রামীণ এবং শহুরে সব শ্রেণীর মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সক্ষম হবেন। এই ফোনটির সহজলভ্যতা এবং বিশেষ ইন্টারনেট অফার গ্রাহকদের দিচ্ছে এক নতুন দিগন্তে প্রবেশের সুযোগ।


গ্রামীণফোন ও সিম্ফনি যৌথভাবে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করে একটি নতুন ধারা তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাশ্রয়ী দামে এমন অফার দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে আরও বেশি ডিজিটাল সংযোগের সাথে যুক্ত করবে এবং তাদের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আনবে।

উন্নত ফিচার ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স

সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা। এর অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হলো এর বিশাল ৬.৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য এক অনন্য ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। যারা স্মার্টফোনে ভিডিও দেখেন, গেম খেলেন বা পড়াশোনা করেন, তাদের জন্য এটির বিশাল স্ক্রিন নিঃসন্দেহে উপযোগী। এই আইপিএস এইচডি+ ডিসপ্লে শুধুমাত্র বড়ই নয়, এতে রয়েছে সমৃদ্ধ কালার এবং শার্পনেস, যা প্রতিটি ছবি ও ভিডিওকে জীবন্ত করে তোলে।


ডিভাইসটির প্রসেসরও বেশ শক্তিশালী। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এ রয়েছে ১.৬ গিগাহার্টজ অক্টা-কোর প্রসেসর, যা ডিভাইসের গতিশীলতা এবং কার্যক্ষমতা বাড়ায়। অক্টা-কোর প্রসেসরটি অনেক দ্রুত এবং স্মুথ মাল্টিটাস্কিং নিশ্চিত করে। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলেও ডিভাইসটি দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে। যারা স্মার্টফোনে ভারী গেমিং করেন বা হাই রেজোলিউশনের ভিডিও সম্পাদনা করেন, তাদের জন্য এই প্রসেসর আদর্শ।


র‌্যাম ও স্টোরেজেও সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এর পারফরম্যান্স ব্যতিক্রমী। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৪ জিবি র‌্যাম, যা প্রতিদিনের ব্যবহারে পর্যাপ্ত এবং কার্যকরী। তবে এই র‌্যাম ৮ জিবি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা সম্ভব, ফলে ডিভাইসের কার্যক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা, যারা দীর্ঘমেয়াদে উচ্চগতির পারফরম্যান্স চান। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পর্যাপ্ত হলেও অতিরিক্ত স্টোরেজের প্রয়োজন হলে মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে এটি আরও সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। এতে করে বড় ফাইল, ভিডিও, ছবি বা গেম সহজেই সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।


স্মার্টফোনটির ক্যামেরা ফিচারগুলোও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এর ৫২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য একটি অসাধারণ ফিচার। এই ক্যামেরা দিয়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কল্পনাতীতভাবে ফ্রেমবন্দী করা সম্ভব। এর উন্নত লেন্স এবং সেন্সর সমৃদ্ধ ক্যামেরা ফিচারগুলো ছবি তোলার সময় দারুণ ডিটেইল এবং রঙের ভারসাম্য নিশ্চিত করে। বিশেষ করে যারা মোবাইল ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই ক্যামেরা নিখুঁতভাবে প্রতিটি মুহূর্তের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলবে। এছাড়াও, এর ক্যামেরা মডিউলে রয়েছে পোর্ট্রেট মোড, নাইট মোডসহ বেশ কয়েকটি আধুনিক ফিচার, যা ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।


ডিভাইসটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল এর ব্যাটারি ক্ষমতা। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এ রয়েছে ৫,০০০ মিলি এম্পিয়ারের একটি শক্তিশালী ব্যাটারি। যারা দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। এই ব্যাটারির সাহায্যে পুরো দিনব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহার করা সম্ভব, যা ব্যাটারি চার্জ নিয়ে উদ্বেগ দূর করবে। আপনি গেম খেলুন, ভিডিও দেখুন বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করুন—এই দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি নিশ্চিত করবে যে, আপনার ডিভাইসের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যাবে না।


সামগ্রিকভাবে, সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ হল এমন একটি স্মার্টফোন যা প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত ফিচার ও শক্তিশালী পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি কেবলমাত্র তরুণ প্রজন্মের স্টাইল এবং চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারকারীর জন্যও আদর্শ একটি ডিভাইস। স্মার্টফোনটির ডিজাইন, ফিচার এবং পারফরম্যান্স একত্রে এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছে যা বাজারে বিশাল সাড়া ফেলছে।

ডিজাইন এবং রঙের বৈচিত্র্য

স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে শুধু ফিচার এবং পারফরম্যান্সই নয়, এর ডিজাইন এবং রঙও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে এমন একটি ডিজাইন এবং রঙের বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছে যা ব্যবহারকারীদের মনে আনন্দ জাগায়।


প্রথমেই বলতে হয়, স্মার্টফোনটির আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং প্রিমিয়াম ফিনিশিং। এর বারিক টেক্সচার এবং স্লিক ডিজাইন স্মার্টফোনটির হাতে নেয়ার অনুভূতিকে করে তোলে আরও অভিজাত। দৈনন্দিন ব্যবহারেও এর স্টাইলিশ লুক বজায় থাকে এবং এটি যেকোনো পরিস্থিতিতে এক নজরে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। বিশেষ করে, যারা স্মার্টফোনের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিত্ব এবং স্টাইল ফুটিয়ে তুলতে চান, তাদের জন্য সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ হতে পারে একটি আদর্শ ডিভাইস। এর হালকা ওজন এবং মসৃণ ডিজাইন ডিভাইসটিকে আরও সুবিধাজনক এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলেছে।


স্মার্টফোনটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল এর রঙের বৈচিত্র্য। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ চারটি আকর্ষণীয় এবং আধুনিক রঙে পাওয়া যাচ্ছে—ডিভাইন গোল্ড, মেরিন ব্লু, অক্সি ব্ল্যাক এবং টাইটানিয়াম গ্রে। এই রঙের বৈচিত্র্য নিশ্চিত করে যে প্রত্যেক ব্যবহারকারী তার নিজস্ব স্টাইল এবং ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই একটি রঙ বেছে নিতে পারবেন। প্রতিটি রঙই অত্যন্ত সুনিপুণভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, যা ফোনটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে এবং একে করে তোলে আরও স্টাইলিশ ও অনন্য।


ডিভাইন গোল্ড রঙটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি প্রিমিয়াম এবং অভিজাত লুক নিয়ে আসে। যারা একটু ভিন্ন এবং সুরুচিসম্পন্ন কিছু খুঁজছেন, তাদের জন্য এই রঙটি আদর্শ। গোল্ডেন রঙের স্মার্টফোন সবসময় একটি শৈল্পিক ছোঁয়া এবং মর্যাদা প্রদর্শন করে, যা গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অনুভূতি জাগ্রত করে।


মেরিন ব্লু রঙটি খুবই আধুনিক এবং কুল, যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিত্বে একটা প্রাণবন্ত এবং স্বাধীন ভাব নিয়ে আসে। ব্লু রঙের গভীরতা এবং তার সাথে ফোনের ডিজাইনের ফিনিশিং মিলে এটিকে একটি চমৎকার অপশন হিসেবে উপস্থাপন করেছে।


অক্সি ব্ল্যাক হল একটি সর্বজনগ্রাহ্য এবং বহুল ব্যবহৃত রঙ, যা সব ধরণের পরিস্থিতিতে মানিয়ে যায়। যারা স্মার্টফোনে একটি ক্লাসিক এবং সময়োপযোগী লুক চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ। ব্ল্যাক রঙের ফোন সবসময় একটি নিরব, তবুও মার্জিত উপস্থিতি বহন করে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটা পরিশীলিত অনুভূতি প্রদান করে এবং অফিসিয়াল ও ক্যাজুয়াল, উভয় পরিবেশেই সহজে খাপ খায়।


টাইটানিয়াম গ্রে রঙটি যারা একটু নির্দিষ্ট এবং অসাধারণ কিছু খুঁজছেন, তাদের জন্য। এই রঙটির আধুনিক এবং মেটালিক ফিনিশিং স্মার্টফোনটিকে একটি প্রিমিয়াম এবং প্রফেশনাল লুক দেয়। গ্রে রঙের ভারসাম্যপূর্ণ মিশ্রণ ফোনটিকে সবার থেকে আলাদা করে তোলে এবং এটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন করে।


এত বৈচিত্র্যময় রঙের অপশন থাকার ফলে প্রত্যেক ব্যবহারকারী তার পছন্দ অনুযায়ী একটি ডিভাইস বেছে নিতে পারবেন। প্রতিটি রঙই তার নিজস্ব সৌন্দর্য এবং আবেদন নিয়ে আসে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য স্মার্টফোনটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এতে করে শুধু প্রযুক্তিগত উন্নতিই নয়, বরং ব্যবহারকারীর স্টাইল এবং ব্যক্তিত্বের প্রতিফলনও ঘটাতে সক্ষম হয়।


সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ-এর এই রঙের বৈচিত্র্য এবং স্লিক ডিজাইন একে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজে পরিণত করেছে। এটি শুধু স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করছে না, বরং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসেবেও কাজ করছে।

গ্রামীণফোন ও সিম্ফনির অংশীদারিত্ব

সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোন বাংলাদেশের টেলিকম এবং মোবাইল প্রযুক্তির জগতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। গ্রামীণফোন এবং সিম্ফনির এই যৌথ উদ্যোগ কেবলমাত্র একটি ফোন উন্মোচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, কানেক্টিভিটি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে একটি নিখুঁত মেলবন্ধন তৈরি করেছে। স্মার্টফোনটি নিয়ে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন, যা এই অংশীদারিত্বের বিশেষ তাৎপর্যকে আরও ভালোভাবে বোঝায়।


সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “আমরা সিম্ফনির সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোন আনতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রামীণফোন সবসময়ই গ্রাহকদের সাশ্রয়ী এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে এসেছে। এই পদক্ষেপ সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক এই ডিজিটাল যুগে কানেক্টিভিটির গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভের মাধ্যমে আমরা কেবলমাত্র উন্নত প্রযুক্তি সবার হাতে পৌঁছে দিতে চাই না, বরং এমন একটি স্মার্টফোন নিয়ে এসেছি যা অনেক বেশি মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে।”


আধুনিক বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী ডিজিটাল কানেক্টিভিটির গুরুত্ব যে কতখানি, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মোবাইল ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো আজকের জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ এমন একটি উদ্ভাবনী ডিভাইস যা ব্যবহারকারীদের শুধু ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশের সুযোগই করে দেয় না, বরং অত্যাধুনিক ফিচার সহ আরও উন্নত এবং নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স উপহার দেয়।


সাজ্জাদ হাসিব আরও উল্লেখ করেন, “এই স্মার্টফোনটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সাড়া ফেলবে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আজকের তরুণরা তাদের স্মার্টফোনে স্টাইল, পারফরম্যান্স এবং সাশ্রয়ের সমন্বয় চান। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ সেই চাহিদাগুলোকে পূরণ করার জন্য নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে এমন সব ফিচার রয়েছে যা তরুণদের লাইফস্টাইলের সাথে খাপ খায়। তরুণরা আজ কেবল ফোনকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে দেখে না, বরং এটি তাদের প্রতিদিনের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বিভিন্ন কাজ, বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত থাকার জন্য একটি দক্ষ এবং স্টাইলিশ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ সেই সব চাহিদা পূরণ করে।”


এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রামীণফোন আরও এক ধাপ এগিয়ে তরুণ প্রজন্মের জন্য এমন একটি স্মার্টফোন আনছে যা শুধু সাশ্রয়ী নয়, বরং কার্যক্ষমতায়ও শক্তিশালী। স্মার্টফোনটির বিভিন্ন ফিচার, যেমন উচ্চগতির প্রসেসর, শক্তিশালী ব্যাটারি এবং উন্নত ক্যামেরা, ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে সক্ষম। এটি এমন একটি ডিভাইস যা তরুণদের জীবনের প্রতিটি দিককে আরও গতিশীল এবং সহজ করে তুলবে।


“আমরা সবসময়ই আমাদের গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের হাতে এমন টুল পৌঁছে দিতে চাই যা তাদের সংযুক্ত থাকতে, তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে এবং পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতে সহায়ক হবে,” বলেন সাজ্জাদ হাসিব। তিনি আরও যোগ করেন যে, “অ্যাটম ফাইভ এমন একটি ডিভাইস যা তরুণদের লাইফস্টাইলের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি সাশ্রয়ী, শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি প্যাকেজ। আমাদের বিশ্বাস, এটি তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহারে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।”


গ্রামীণফোন এবং সিম্ফনির এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে করে দেশের আরও বেশি মানুষ উন্নত ডিজিটাল কানেক্টিভিটির সুবিধা পেতে সক্ষম হবে। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ একটি স্মার্টফোনের চেয়েও বেশি; এটি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।


এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, গ্রামীণফোন এবং সিম্ফনি উভয়ই দেশের মোবাইল প্রযুক্তি খাতে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দিগন্ত উন্মোচন করবে।

শেষ কথা: 

সিম্ফনি এবং গ্রামীণফোন মিলে সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ স্মার্টফোনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তি মানুষের হাতে পৌঁছানোর এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। মাত্র ৮,৪৯৯ টাকায় অত্যাধুনিক ফিচারের এই ডিভাইসটি ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


এই স্মার্টফোনটির আধুনিক ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স, এবং উচ্চ-মানের ক্যামেরা তরুণদের জন্য আদর্শ, যা তাদের দৈনন্দিন জীবন এবং শিক্ষার কাজে সহায়ক হবে। গ্রামীণফোনের ডেটা অফার এ ডিভাইসটির মূল্য আরও বৃদ্ধি করেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করবে।


গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেছেন, এই স্মার্টফোনটি তরুণ প্রজন্মকে সংযুক্ত থাকতে এবং তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সিম্ফনি অ্যাটম ফাইভ দেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে, প্রযুক্তির সুবিধা সবার কাছে পৌঁছে দেবে।