মিনি ল্যাপটপের দাম
মিনি ল্যাপটপের দাম
মিনি ল্যাপটপ মূলত একটি ছোট আকারের ল্যাপটপ যা আপনাকে খুব সহজেই ওয়েব সার্ফিং, মেইল চেকিং, সামগ্রিক অফিসের সকল কাজ, এবং অন্যান্য দরকারি কাজগুলো করতে সহায়তা করতে সক্ষম। মিনি ল্যাপটপ এর দামটাও একদম হাতের নাগালে হওয়ার কারণে খুব অল্প দামেই কেনা সম্ভব হয়। এই ধরনের ল্যাপটপ গুলো খুব সহজেই পরিবহনযোগ্য এবং আপনার সাথে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমরা জানবো বিভিন্ন ব্রান্ডের মিনি ল্যাপটপের দামসমূহ সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত ল্যাপটপের মূল্য দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
টেবিল অফ কন্টেন্ট
১. মিনি ল্যাপটপ কি?
২. মিনি ল্যাপটপের দাম
২. ১. HP Stream 11 Pro G3
২. ২. Lenovo Yoga Book 4GB RAM 10.1" টাচ স্ক্রিন নোটবুক
২. ৩. ASUS L203MA-DS04 মিনি ল্যাপটপ
২. ৪. Walton Prelude S41 টাচস্ক্রিন মিনি ল্যাপটপ
২. ৫. HP প্যাভিলিয়ন DV2-1010AU
৩. মিনি ল্যাপটপের দাম প্রভাবিত হওয়ার কারণগুলি কি কি?
৩. ১. ডিসপ্লে এবং গ্রাফিক্স
৩. ২. RAM এবং স্টোরেজ
৩. ৩. ব্র্যান্ডের খ্যাতি এবং গুণমান
৩. ৪. প্রসেসর এবং কর্মক্ষমতা
৪. মিনি ল্যাপটপের সুবিধাগুলো কি কি?
৪. ১. ক্রয়ক্ষমতা
৪. ২. বহনযোগ্যতা
৪. ৩. কর্মক্ষমতা
৫. শেষ কথা!
মিনি ল্যাপটপ কি?
মিনি ল্যাপটপ হলো এমন একটি ল্যাপটপ যা সাধারণত ছোট এবং হালকা হয়। এই ল্যাপটপ গুলি সাধারণত ১০ ইঞ্চি থেকে ১৩ ইঞ্চির স্ক্রিন সহ ইউজার দের কাছে আসে। সাধারণত মিনি ল্যাপটপের ডিস্প্লের উপরে কীবোর্ড এবং পয়েন্টিং ডিভাইস (যেমনঃ টাচপ্যাড বা ট্র্যাকপয়েন্ট) থাকে। এদের আকার ছোট ও ওজন কম হওয়ার কারণে সহজেই পরিবহনযোগ্য হয়। এই ল্যাপটপ গুলি সাধারণত বেসিক কম্পিউটিং কাজে বেশি ব্যবহার হয়, যেমনঃ ওয়েব সার্ফিং, মেইল চেকিং, অফিসের বিভিন্ন কাজ ইত্যাদি। মিনি ল্যাপটপ গুলি অন্যান্য বড় সাধারন ল্যাপটপ গুলোর তুলনায় প্রসেসর, র্যাম এবং স্টোরেজ এর দিক থেকে কিছুটা সীমাবদ্ধ থাকে। একটি সাধারণ ল্যাপটপের চেয়ে মিনি ল্যাপটপ গুলির দাম অনেকাংশেই কম হয়। যার কারনে যেকোনো ল্যাপটপ ইউজাররাই এটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারে।
মিনি ল্যাপটপের দাম
সাধারণত মিনি ল্যাপটপ এর দাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও স্পেসিফিকেশন উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আপনি প্রায় ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মিনি ল্যাপটপ গুলি ক্রয় করতে পারবেন৷ আরও বিস্তারিত জানার জন্য আপনি এই ভিডিওটি দেখতে পারেন-
১. HP Stream 11 Pro G3
HP Stream 11 Pro G3 এর সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
মডেল | Stream 11 Pro G3 |
সর্বনিম্ন মূল্য | ৳ ১২, ০০০ |
ব্র্যান্ড | HP |
ল্যাপটপের ধরন | মিনি |
প্রসেসরের ধরন | ইন্টেল সেলেরন N3060 |
প্রসেসরের গতি | ১.৬ GHz (২.৪৮ GHz পর্যন্ত) / ২ MB ক্যাশে / ২ কোর |
চিপসেট | সমন্বিত |
স্ক্রিনের আকার | ১২" ডায়াগোনাল এইচডি এসভিএ এলইডি অ্যান্টি-গ্লেয়ার (১৩৬৬ x ৭৮৮ পি) |
রেম | ৪ জিবি |
গ্রাফিক্স কার্ড | ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৪০০ |
হার্ড ডিস্ক | ৬৪ জিবি |
ডিস্কের ধরন | এসএসডি |
ওয়েবক্যাম | ভিজিএ ক্যামেরা / অ্যাক্টিভিটি এলইডি / ৬৪০ x ৪৮০ পি |
সফটওয়্যার | ডিফল্ট ওএস |
HP Stream 11 Pro G3 মিনি ল্যাপটপ এর দাম বর্তমানে মাত্র ১২ হাজার টাকার মতো। যাদের তুলনামূলক ভাবে বাজেট সল্পতা রয়েছে তাদের জন্য HP ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলো অনেক ভালো। একটি ১.৬ গিগাহার্জ বা ২.৪৮ গিগাহার্জ পর্যন্ত ইন্টেল সেলেরন সিপিউ HP Stream 11 Pro G3 নোটবুককে অনেক বেশি শক্তি দেয়৷ ল্যাপটপটি ১৩৬৬ x ৭৬৮ p পাওয়ার সহ একটি ১২ ইঞ্চি তির্যক এইচডি এসভিএ এলইডি স্ক্রিন সমর্থন করে৷ এতে একটি ৬৪ জিবি এসএসডি কার্ড এবং ৪ জিবি রেম রয়েছে৷ এছাড়াও একটি ভিজিএ ওয়েবক্যাম ছাড়াও ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং, ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই রয়েছে৷
২. Lenovo Yoga Book 4GB RAM 10.1" টাচস্ক্রিন নোটবুক
Lenovo Yoga Book 4GB RAM 10.1" টাচস্ক্রিন নোটবুক এর সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
মডেল | Lenovo Yoga Book |
সর্বনিম্ন মূল্য | ২৩, ৫০০ |
ব্র্যান্ড | Lenovo |
ল্যাপটপের ধরন | মিনি |
প্রসেসরের ধরন | ইন্টেল অ্যাটম x৫ Z৮৫৫০ |
প্রসেসরের গতি | ২M ক্যাশে, কোয়াড-কোর, ১.৪৪ GHz থেকে ২.৪০ GHz পর্যন্ত |
চিপসেট | ইনটেল |
স্ক্রিনের আকার | ১০.১" FHD IPS |
রেম | ৪ জিবি LPDDR3 |
গ্রাফিক্স কার্ড | ইন্টেল এইচডি |
ব্যাটারি | ৮৫০০ mAh |
ওয়েবক্যাম | ৮MP অটো-ফোকাস রিয়ার এবং ২MP ফিক্সড-ফোকাস ফ্রন্ট |
এসএসডি | ৬৪ জিবি |
নেটওয়ার্কিং | ওয়াইফাই 802.11 a/b/g/n/ac, ডুয়াল চ্যানেল ২.৪ গিগাহার্জ এবং ৫ গিগাহার্জ |
৪ জিবি র্যাম সহ ১০.১" টাচস্ক্রিন লেনোভো ইয়োগা বুকের দাম ২৩, ৫০০ টাকা৷ লেনোভো ইয়োগা বুকটিতে একটি ২M ক্যাশে এবং ২.৪ গিগাহার্জ এর সর্বোচ্চ গতি সহ একটি ইন্টেল অ্যাটম x5-Z8550 প্রসেসর রয়েছে৷ এই ল্যাপটপটিতে ৪ জিবি রেম, ৬৪ জিবি ফ্ল্যাশ মেমরি, একটি ১০.১" ফুল এইচডি ডিসপ্লে আছে। এছাড়াও ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স, একটি কার্ড রিডার এবং ডলবি প্রিমিয়াম অডিও রয়েছে।
৩. ASUS L203MA-DS04 মিনি ল্যাপটপ
ASUS L203MA-DS04 মিনি ল্যাপটপ এর সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
মডেল | ASUS L203MA- DS04 |
সর্বনিম্ন মূল্য | ২৭, ৫০০ |
ব্র্যান্ড | ASUS |
ল্যাপটপের ধরন | মিনি |
সিপিইউ | Intel Celeron N৪০০০ প্রসেসর (৪M ক্যাশে, ২.৬ GHz পর্যন্ত) |
স্টোরেজ | ৬৪ জিবি eMMC ফ্ল্যাশ স্টোরেজ |
আইটেম ওজন | ২.১০ পাউন্ড |
স্ক্রিনের আকার | HD ওয়েবক্যাম সহ 11.6 ইঞ্চি HD (1366 x 768) ডিসপ্লে |
রেম | ৪GB LPDDR4 SDRAM AM |
গ্রাফিক্স কার্ড | ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স ৬০০ |
অপারেটিং সিস্টেম | উইন্ডোজ ১০ এস মোডে |
একটি দুর্দান্ত মিনি ল্যাপটপ হল ASUS L203MA-DS04। কমপ্যাক্ট আকার হওয়ার কারণে আপনি সহজেই এটি যেকোনো জায়গায় পরিবহন করতে পারেন। এছাড়াও এই ল্যাপটপে একটি ১৮০ ডিগ্রি কব্জা রয়েছে যা যেকোনো টেবিলে ফ্ল্যাট ভাবে বসানোর সুবিধা দেয়। আরও আছে দুটি স্পিকার এবং ASS SonicMaster প্রযুক্তি, যাতে গ্রাহকরা চারপাশের শব্দ উপভোগ করতে পারেন।
৪. ওয়ালটন Prelude S41 টাচস্ক্রিন মিনি ল্যাপটপ
ওয়ালটন Prelude S41 টাচস্ক্রিন মিনি ল্যাপটপ এর সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
মডেল | Prelude S41 |
সর্বনিম্ন মূল্য | ২৩,৫০০ |
ব্র্যান্ড | ওয়ালটন |
ল্যাপটপের ধরন | মিনি |
প্রসেসরের ধরন | ইন্টেল জেমিনি লেক N4১০০ প্রসেসর |
স্টোরেজ | ১২৮ জিবি এবং এমএমসি স্টোরেজ |
ডিসপ্লে | FHD |
স্ক্রিনের আকার | ১০.১ ইঞ্চি |
রেম | ৪GB DDR৪ |
চিপের আকার | ১৪ মিমি |
গ্রাফিক্স কার্ড | ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স ৬০০ |
ব্যাটারি | এমবেডেড পলিমার স্মার্ট লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক |
হার্ড ড্রাইভ | ১২৮ জিবি |
ওয়ালটন গ্রুপের সবচেয়ে পরিচিত ল্যাপটপ সিরিজ গুলোর একটি হল প্রিলিউড। বাংলাদেশে ওয়ালটন মিনি ল্যাপটপ এর দাম অনেকটাই কম হওয়ার কারণে, বাজেট ফ্রেন্ডলি ইউজারদের জন্য এটি সুখবর নিয়ে আসে। বিশেষ সকল বৈশিষ্ট্যের কারণে, পূর্ববর্তী মিনি ল্যাপটপের সিরিজ এর তুলনায় ওয়ালটন প্রিলিউড s41 অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। Prelude S41-এ রয়েছে একটি ১০.১ -ইঞ্চি ফুল এইচডি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, যা এই ল্যাপটপ সিরিজের সবচেয়ে উন্নত এবং মাল্টি-টাচ ফাংশন সমর্থন করে। এটি ইন্টেল জেমিনি লেক N41১০০ কোয়াড-কোর প্রসেসর দ্বারা সমন্বিত ইন্টেল UHD ৬০০ গ্রাফিক্স দ্বারা চালিত। এতে ৪ জিবি LPDDR4 2400MHz রেম ও রয়েছে।
৫. HP প্যাভিলিয়ন DV2-1010AU
HP প্যাভিলিয়ন DV2-1010AU এর সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
মডেল | প্যাভিলিয়ন DV2-1010AU |
সর্বনিম্ন মূল্য | ৯, ৯০০ |
ব্র্যান্ড | HP |
ল্যাপটপের ধরন | মিনি |
প্রসেসরের ধরন | এএমডি অ্যাথলন নিও |
প্রসেসরের গতি | ১.৬০ GHz |
ব্যাটারি | ৬ -সেল লিথিয়াম- আয়ন ব্যাটারি |
স্ক্রিনের আকার | ১২" WXGA হাই ডেফিনিশন ব্রাইট ভিউ ওয়াইডস্ক্রিন ডিসপ্লে |
রেম | ২ GB RAM |
গ্রাফিক্স কার্ড | ATI মোবিলিটি Radeon HD ৩৪১০ গ্রাফিক্স |
হার্ড ডিস্ক | ৩২০ জিবি |
ডিস্কের ধরন | এইচডিডি |
নেটওয়ার্কিং | 802.11a/b/g/n ওয়্যারলেস এবং ব্লুটুথ |
ওয়েবক্যাম | ১.৩ এমপি ওয়েবক্যাম |
HP প্যাভিলিয়ন DV2 এর দাম ৯,৯০০ টাকা। HP Pavilion DV2-এ 1280 x 800 পিক্সেল রেজোলিউশন সহ একটি ১২.১ ইঞ্চি ওয়াইড স্ক্রিন ডিসপ্লে, ৩ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ রয়েছে। আরো পাচ্ছেন ২ জিবি রেম এবং ৩২০ জিবি হার্ডডিক্স। এই সকল উন্নত ফিচারগুলো আপনার মিনি ল্যাপটপ চালানোর অভিজ্ঞতাকে আরো আনন্দময় করে তুলবে।
মিনি ল্যাপটপের দাম প্রভাবিত হওয়ার কারণগুলি কি কি?
বাংলাদেশে মিনি ল্যাপটপের দাম বিভিন্ন কারনে প্রভাবিত হয়ে থাকে। ঠিক কি কি কারণ আপনার মিনি ল্যাপটপটির দাম বাড়ছে কিংবা কমছে সেই বিষয়গুলোতে অবশ্যই নজর রাখা উচিত। চলুন কিছু মূল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। এই সকল বিষয়গুলোর কারনে মূলত সবচেয়ে বেশি দাম প্রভাবিত হয়ে থাকে।
ব্র্যান্ডের খ্যাতি এবং গুণমান:
সাধারণত খেয়াল করলে দেখবেন যে সকল ব্র্যান্ড গুলো মোটামুটি নামকরা এবং বেশি গুন সম্পন্ন, তাদের দাম গুলোও তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। তারা সাধারণ ব্র্যান্ডের চেয়ে কিছুটা বেশি দামেই তাদের মিনি ল্যাপটপগুলো বাজারে সেল করে থাকে। তবে কিছুটা কম পরিচিত ব্র্যান্ডে আপনি আবার অনেকটা কম প্রাইজেই মিনি ল্যাপটপ খুঁজে পাবেন। আর এদের স্পেসিফিকেশনও যে খুব খারাপ সেরকম কিন্তু না।
RAM এবং স্টোরেজ:
RAM এর পরিমাণ এবং স্টোরেজ ক্ষমতাও দামকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দায়ী। উন্নত RAM এবং বেশি স্টোরেজ মসৃণ মাল্টিটাস্কিং এর জন্য অনুমতি প্রদান করতে পারে। এছাড়াও আপনার মিনি ল্যাপটপে বেশি পরিমাণের ফাইল এবং সফ্টওয়্যার রাখতে চাইলে অবশ্যই উচ্চ র্যাম এবং স্টোরেজ সম্পন্ন একটি মিনি ল্যাপটপ বাছাই করতে হবে।
ডিসপ্লে এবং গ্রাফিক্স:
বড় এবং উচ্চ রেজোলিউশন এর ডিসপ্লে সহ মিনি ল্যাপটপ গুলি প্রায়শই বেশি দাম হয়। এছাড়াও, উন্নত গ্রাফিক্স কার্ড গুলি ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি উন্নত করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। তবে এরকম উন্নত ফিচার গুলো থাকলে সেই মিনি ল্যাপটপ এর দামও অনেকটা বৃদ্ধি পায়।
প্রসেসর এবং কর্মক্ষমতা:
প্রসেসর হল যে কোন ল্যাপটপ এর মস্তিষ্ক। আর শক্তিশালী প্রসেসর সহ মিনি ল্যাপটপ গুলির দাম বেশি হয়ে থাকে। আপনার যদি স্মুথভাবে কাজের জন্য একটি ল্যাপটপের প্রয়োজন হয়, তাহলে একটি উচ্চ পারফর্মিং প্রসেসর সম্পন্ন মিনি ল্যাপটপ চুজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মিনি ল্যাপটপের সুবিধাগুলো কি কি?
ক্রয়ক্ষমতা:
মিনি ল্যাপটপ গুলি তুলনামূলকভাবে কম দামে বাজারে আসে, তাই এটি বাজেট সচেতন ব্যক্তি দের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ।
মিনি ল্যাপটপ এর দিকে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যেই একটি উচ্চ মানের ডিভাইস পাচ্ছেন।
বহনযোগ্যতা:
মিনি ল্যাপটপ এর কমপ্যাক্ট সাইজ এবং লাইটওয়েট ডিজাইন এগুলোকে পরিবহনযোগ্য করে তোলে।
আপনি আপনার যেকোনো ছোট ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাকে একটি মিনি ল্যাপটপ খুব সহজেই পরিবহন করে যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন।
মিনি ল্যাপটপ যেকোনো প্রফেশনাল, বিগেনার, স্টুডেন্ট সবার জন্যই উপযুক্ত।
কর্মক্ষমতা:
ছোট আকার হওয়ার সত্ত্বেও, মিনি ল্যাপটপ গুলি অসাধারণ কর্মক্ষমতা প্রদান করে।
শক্তিশালী প্রসেসর এবং পর্যাপ্ত র্যাম থাকার কারনে দ্রুত মাল্টিটাস্কিং এবং মসৃণ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে।
ব্যবহারকারীরা অনায়াসে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালাতে, ওয়েব ব্রাউজ করতে, ভিডিও স্ট্রিম করতে এবং সহজেই যেকোনো কাজ সম্পাদনা করতে পারবে।
শেষ কথা!
এখন বলতে পারেন মিনি ল্যাপটপ বাংলাদেশে দিন দিন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এর প্রধান কারণ তাদের সাইজ ও অসাধারণ সকল ফিচার। আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আপনার প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত মিনি ল্যাপটপ ঠিক কোনটি হতে পারে। তাহলে আর দেরি করছেন কেনো? আপনার পছন্দের মিনি ল্যাপটপটি বাছাই করে নিন। আর সেই সাথে সাথে নিজেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে চলুন।